মোবাইলে ছবি এডিট করার সেরা ৫ টি সফটওয়্যার ২০২৩?
মোবাইলে ছবি এডিট করার সেরা ৫ টি সফটওয়্যার ২০২৩|Best Photo Editing App 2023
- PhotoDirector
- VSCO
- Adobe Lightroom Mobile
- Picsart
- Snapseed
বর্তমানে প্রতিদিনই আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ছবি এডিট করতে হয়। তবে আমরা অনেকেই ভালো ছবি এডিট করতে পারি না। আজকের এই এপ গুলো দিয়ে আপনিও চাইলে পারবেন খুব সহজেই।
আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে, যদিও সেটি দূর্দান্ত ছবি তুলে কিন্তু আপনি আপনার তুলা ছবিকে এডিট করে আরো প্রাণবন্ত করতে চাইবেন।
সেজন্য অবশ্যই আপনি কয়েকটি ভালো মানের ছবি এডিট করার সফটওয়্যার আপনার মোবাইলে রাখতে চাইবেন।
আরও পড়ুন :
○ যেভাবে ফেইসবুক থেকে টাকা আয় করবেন
○ যেসকল উপায়ে আয় করবেন অনলাইনে
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো, ভালো মানের ছবি এডিট করার সেরা ৫ টি মোবাইল সফটওয়্যার সম্পর্কে।
এসব সফটওয়্যারগুলো অনেকাংশে RAW ফাইলগুলো ম্যানেজ করে, কোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে দিতে পারে, অথবা AI-বেসড ফিল্টারগুলো আপনার ছবির কোয়ালিটি বৃদ্ধিসহ আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।
এছাড়াও, এগুলোতে ব্রাইটনেস,হাইলাইটস, হোয়াইট ব্যালান্স, এক্সপোজার, লেয়ার্স,এড টেক্সট ও আরও অনেক ধরনের এডিটিং অপশন রয়েছে।
১. PhotoDirector
আমাদের তালিকার প্রথমেই রয়েছে
PhotoDirector। এই এপ অনেক উন্নতমানের এবং এখানে রয়েছে অসাধারণ সব টুলস।আপনার জন্য এই এপটি অনেক ইউজার-ফ্রেন্ডলি।
আপনার যদি ছবি এডিট করার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকে, এর পরও এই এপের উন্নত মানের ফিচার টুলসগুলো ব্যবহার করে আপনি প্রফেশনাল মানের ছবি এডিট করতে পারবেন।
টুলসগুলো ব্যবহারে খুব সহজেই আপনার ছবিকে ভালো কোয়ালিটি ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। এই এপ ব্যবহারে আপনি যে সুবিধা পাবেন।
• এতে রয়েছে ইনবিল্ট স্টক লাইব্রেরি
• AI টেকনোলজি বেস টুলস
• AI স্কাই রিপ্লেসমেন্ট ও লাইট রে টুলস
• ফটো ও বিউটি রিটাচ টুল,
• অসাধারণ ফিল্টার ও ইফেক্টস
• লাইট এন্ড কালার অ্যাডজাস্টমেন্ট টুলস
• অ্যানিমেশন টুল ও অ্যানিমেটেড ওভারলে।
২. VSCO
“VSCO গার্ল” ভাইবের জন্য খুবই জনপ্রিয় VSCO এপটি
ছবি এডিটিং এর যাবতীয় কাজ করার জন্যে এবং ট্রেন্ডিন ফটো এডিটিং ফিচার গুলো প্রদান করার জন্য এই ফটো এডিটর সফটওয়্যারটি যথেষ্ট সফল।
এই ফটো এডিটিং এপটি আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ইউজার সবার জন্যই ব্যবহার উপযোগী। এই এপের সুবিধা।
• দারুণ LUT ফিল্টার ব্যবহার করতে উপযুক্ত
• ফটো ও ভিডিওর জন্যে চমৎকার কালার ফিল্টার সিলেকশন রয়েছে
• এছাড়াও বেসিক ভিডিও এডিটিং ফিচার রয়েছে (যদিও পেইড ভার্শনে )
৩. Adobe Lightroom Mobile
Adobe Lightroom সফটওয়্যারটির অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের জন্য এটি অসাধারণ একটি এপ। তবে, Adobe Lightroom এপ ব্যবহারে তেমন কোনো পেশাদার ফটোগ্রাফির ধারণা রাখার দরকার নেই।
আপনি যদি ইতিমধ্যে Adobe প্রোডাক্টগুলোর সাথে ব্যবহারীক পরিচিত হয়ে থাকেন, তাহলে এই ফটো এডিটর সফটওয়্যারটা আপনার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত।
• এতে প্রো-লেভেল ফটো এডিটিং ফিচার রয়েছে। (এর জন্য ভালো ফটোগ্রাফি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন)
• প্রো-লেভেল ক্যামেরা ইউজ (আইএসও, এক্সপোজার ও আরও অনেক ম্যানুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট সুবিধা পাবেন)
৪. Picsart
আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের মধ্যে যারা আকর্ষণীয় ও ভালো মানের ফটো এডিটিং অ্যাপ্লিকেশনের খোজ করছেন,তাদের জন্য Picsart এতটাই উপযোগী যে আপনি এটি দিয়ে প্রফেশনাল লেভেলের ফটো এডিট করতে পারবেন।
এই এপে আপনি ১০০-টিরও বেশি টেমপ্লেট, ফন্ট ও স্টিকারসহ বিভিন্ন ইমেজ, এলেমেন্ট বিনামূল্যে পেতে পারেন।(কিছু রয়েছে পেইড)
এছাড়াও এতে আপনি আপনার ছবিগুলোর জন্য অসাধারণ কাস্টমাইজেশন ফিচার পাবেন । এর আরও সুবিধা গুলো হলো।
• ফটো এডিটিং ও পোর্টেটিং রিটাচের জন্য চমৎকার টুলস পেয়ে যাবেন।
• সহজে ব্যবহার্য প্রি-মেড টেমপ্লেট উপযোগী
• ফটো এডিটিং-এর জন্য অনেক ডাউনলোডেবল এলিমিন্ট রয়েছে।
৫. Snapseed
আপনি যদি ছবি এডিট করার এপ ব্যবহার করতে চান তাহলে Snapseed আপনার কাছে একটা অন্যতম চয়েজ হতে পারে।এপটি আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্যও উপযোগী।
এই ফ্রি ছবি এডিট মোবাইল সফটওয়্যারটি গুগলের কোনো প্রোডাক্ট, এমনকি এর ইউজারদের “প্রিসেটস” তৈরি করতে দেয়।
অর্থাৎ, আপনি যদি আপনার ভবিষ্যতের যেকোনো ছবি এডিট করতে চান তাহলে সহজেই সেই প্রিসেটে থাকা এডিটিং সিলেক্ট করলেই, আপনার ছবি নিজে থেকেই আপনার মনের মতো এডিট হয়ে যাবে।এর যেসব সুবিধা পাবেন
• RAW এডিটিং রয়েছে
• ছবির জন্য সেরা কালার ফিল্টার সিলেকশন ফিচার এতে রয়েছে,
• কালার কার্ভ, ডি-নয়েজ ও আরও অনেক উন্নত মানের ছবি এডিট ফিচার এতে আছে।
আজ এ পর্যন্তই। আমাদের ব্লগ পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট এবং শেয়ার করতে পারেন।
এই ব্লগের সাথে জড়িত কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই তাও কমেন্টে জানাবেন।
ধন্যবাদ।