সুস্থ থাকতে অবশ্যই করণীয়?

সুস্থ থাকতে অবশ্যই করণীয়?|How to stay healthy?

সুস্থ থাকতে অবশ্যই করণীয়?

প্রত্যেকটি মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে নিজ স্বাস্থ্যের সঠিক লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সুস্থ জীবনের জন্য প্রত্যেক দিন সবারই পরিমিত পরিমাণ পরিশ্রম করা উচিত।

বেশ কিছু ভালো অভ্যাস আছে যেগুলো একজন মানুষ ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গ্রহণ করতে পারেন। এখানে ১০টি সেরা অভ্যাস রয়েছে যা শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতায় সহায়তা করতে পারে:

বর্তমানে আমাদের কাজের ধারা, অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি, পড়াশোনার চাপ,খেলার মাঠের অপ্রতুলতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আমরা খুবই কম হাঁটাচলা কিংবা দৌড়া দৌড়ি করি, ফলে আমাদের শরীর সুস্থ, সবল থাকছে না। 

আমাদের বিভিন্ন রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়।এসব জটিলতা কাটাতে এবং শরীর সুস্থ সবল রাখতে আমাদের প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করা।

আরও পড়ুন:

সুস্থ থাকতে যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন?

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়?

ঘুমের তারতম্য স্বাস্থ্যের যেসব ক্ষতি করে!

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: 

ব্যায়াম শরীরকে সচল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে, হার্টকে শক্তিশালী করে, ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং শক্তিশালী পেশী তৈরি করে।

আপনি যে রকম শরীরচর্চা করতে পারেন:

বিভিন্ন রকম শরীর চর্চা আছে, জোরে হাঁটা, জগিং, দৌড়ানো, সাঁতারকাটা, খেলাধুলা করা, সাইকেল চালানো।এসব শরীর চর্চা করলে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। 

শরীরচর্চার ফলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সার থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া যায়।প্রতি দিনের কাজের শেষে বিকেল বেলায় অথবা সন্ধ্যা বেলায় ব্যায়াম করা অত্যন্ত উপকারী। 

কেননা,সমস্ত দিনে আপনার দেহের রক্তচাপের ভারসাম্য রক্ষা হয় শরীরের সাথে। ফলে যেকোনো সময় রক্তচাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে যায়। 

কখন ব্যায়াম করবেন:

সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রত্যাহিক কাজ শুরুর পূর্বে শরীর চর্চা করতে পারেন। তবে যেসব ব্যক্তির হৃদ্‌রোগ রয়েছে, তাদের জন্য সকাল বেল শরীর চর্চা না করাই উত্তম।

আপনি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার শরীর চর্চা করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে প্রত্যেক বার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট শরীর চর্চা করবেন।

শরীর চর্চার জন্য উপযোগী স্থান আলো বাতাস পূর্ণ নিরিবিলি স্থান।ট্রেডমিল ব্যবহার করে অথবা জিমে গিয়েও ব্যায়াম করতে পারেন।

সুষম খাবার: 

শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য।

বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া শরীরের ওজন বজায় রাখতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

প্রচুর পানি পান করুন:

সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে, স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য।

পর্যাপ্ত ঘুম : 

সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। আমরা অনেকেই এই ভালো অভ্যাসটি যাথাযথ ভাবে মেনে চলি না।

প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি দিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের লক্ষ্য পূরণ করা উচিত যাতে শরীরে বিশ্রাম এবং মেরামত হতে পারে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: 

স্ট্রেস শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ধ্যান, গভীর শ্বাস বা যোগব্যায়ামের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলির মাধ্যমে স্ট্রেস পরিচালনা করা চাপ কমাতে এবং প্রশান্তির অনুভূতি বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।

আপনি একটু শ্বাস গ্রহণ করুন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ত্যাগ করুন এতে মানসিক স্থবিরতা বৃদ্ধি পায়। আপনি যেকোনো চাপের মূহুর্তে বা মানসিক কষ্টের মূহুর্তে এই শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম কি করতে পারেন। 

ধূমপান এবং অত্যাধিক অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন: 

ধূমপান এবং অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং লিভারের ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।

ভাল স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করুন: 

ভাল স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন যেমন ঘন ঘন হাত ধোয়া, নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা এবং প্রতিদিন গোসল করা জীবাণু এবং সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

কাজে নিয়মিত বিরতি নিন: 

কাজ থেকে নিয়মিত বিরতি নেওয়া বা দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা রক্ত ​​​​সঞ্চালন উন্নত করতে, রক্ত ​​​​জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে এবং পিঠে ব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন: 

সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নীত করতে এবং হতাশা ও উদ্বেগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি নিজের এবং সমর্থনের অনুভূতি উন্নীত করতেও সাহায্য করতে পারে।

সচেতন থাকুন: 

স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত খবর এবং তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকা স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা পছন্দ করা সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আপডেট সংবাদ দেখুন ও জানুন।

সংক্ষেপে, এই ১০টি অভ্যাস অবলম্বন করা ভালো শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা একজন ব্যক্তিকে সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর জীবনের দিকে পরিচালিত করে।

তথ্য গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন এতে অন্যের উপকারে আসতে পারে। আমাদের সাথেই থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন